|
উখিয়ায় পৃথক অভিযানে ২ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারঃআটক-১
কায়সার হামিদ মানিক
|
|
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার। কক্সবাজার জেলার উখিয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকায় পৃথক তিনটি অভিযানে ২ লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬৪ ব্যাটালিয়ন ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।এসময় একজন মাদককারবারীকে আটক করা হয়। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত চলা এ অভিযানে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উখিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি ও ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সূত্রে জানা গেছে, গেল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পালংখালী সীমান্তের আঞ্জুমান পাড়ার পানির পয়েন্ট এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়। এ সময় মিয়ানমার দিক থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়। পালানোর সময় একটি কালো ব্যাগ ও একটি শার্টে মোড়ানো পোটলা ফেলে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে খাকি প্যাকেটে মোড়ানো ৯ কাটে মোট ৯০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। একইদিন রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শফিউল্লাহকাটা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার রেফাতুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হরিদাস নাগের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়।অভিযান চলাকালে শফিউল্লাহকাটা পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন টিকার মাঠ এলাকায় এপিবিএনের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা শফিউল্লাহ (৩০) ও সালাম শাহ (২৫) পালিয়ে যায়। তবে তাদের সহযোগী সৈয়দুল আমিন (৩০)কে আটক করা হয়। আটককৃত সৈয়দুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি কালো ট্রাংকের ভেতরে বিশেষ চেম্বার তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট লুকিয়ে রেখেছিল। তার দেখানো মতে শফিউল্লাহর বসতঘর থেকে ট্রাংকটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় হেড মাঝি মো. সৈয়দুল ইকবাল ও প্রতিবেশী জাহিদ আলমের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালিয়ে আটটি প্যাকেটের ভেতর মোট ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা (নম্বর—২৪, তারিখ—০৯/০৯/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পালংখালী সীমান্তের আঞ্জুমান পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এ সময় মিয়ানমার দিক থেকে সন্দেহভাজন আরো দুই ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। বিজিবি সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারা দ্রুত মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। তবে তারা হস্তচালিত নৌকা ফেলে রেখে যায়। ওই নৌকা থেকে সাদা পলিব্যাগ তল্লাশি করে খাকি প্যাকেটে মোড়ানো ১০ কাটে মোট ১ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উখিয়া ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, পলাতক মাদক চোরাকারবারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারাতেই নয়, বরং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। |
