সময় নিউজ বিডিঃ   যশোরের শার্শায় পৃথক ঘটনায় দুই শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ছয় বছর অপরজনের বয়স পাঁচ বছর। এ ঘটনায় কওমি মাদরাসার শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম জানান, গত ২৪ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামপুর গ্রামে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর অভিভাবকরা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেনকে জানান। এরপর কবির হোসেন তাদের থানায় পাঠান। শিশুটির বাবা এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। একইসাথে অভিযুক্ত সাগর হোসেনকে আটক করা হয়।

এদিকে একই উপজেলার বেনাপোল দারুস সালাম কওমি মাদ্রাসার পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

শিশুটির পিতার অভিযোগ, তার মেয়ে রোববার মাদ্রাসায় যায়। ওই সময় মাদ্রাসায় নতুন যোগদান করা শিক্ষক হাফেজ সালমান তাকে মাদ্রাসার ভর্তির একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে তার রক্তক্ষরণ হয়। মেয়েটি বাড়িতে ফিরে জানায় নতুন হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। এরপর বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষক হাফেজ সালমান ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রোকন উদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই মাদ্রাসার চার শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং ওই মামলায় হাফেজ সালমানকে আটক দেখানো হয়েছে। অন্যদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।