|
রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের একটা নীল নকশা তৈরি
|
|
সময় নিউজ বিডিঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে এই নোয়াখালী ও ফেনীতে আমার পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের একটা নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। সেই নীল নকশা মোতাবেক ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে ঘণ্টাব্যাপী লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমি কয়েকবার কোম্পানীগঞ্জে শান্তির জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। ১১টা প্রস্তাবনা আমি উপস্থাপন করেছি। তার বিপরীতে ষড়যন্ত্রের একটা নীল নকশা তৈরি করেছে তারা।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরী এখন দুবাইতে অবস্থান করছেন। দুবাই যাওয়ার আগে অপরাজনীতির হোতা একরাম, নিজাম দূর্নীতিবাজ সচিব প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওবায়দুল কাদেরসহ আমাদের পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরাবে এবং আমি, আমার ছেলে ও আমার ছোট ভাই শাহাদাতকে তারা হত্যা করবে।
তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালীর একরাম বাদলকে (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান) তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে, বলেছে তোমরা বৈঠক করে তোমাদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো।কাদের মির্জা বলেন, বাদল মঞ্জুর বাসায় এখানকার সব অস্ত্রধারীদের নিয়ে বৈঠক করেছে। তারা বৈঠক করে কানা মঞ্জুকে দলের মুখপাত্র করেছে। তবে সে মুখপাত্র না হওয়ার চেষ্টা করেছে। তারপর একরামুল চৌধুরী তাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার পর সে মুখপাত্র হতে সম্মতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি, আমার ছেলে ও আমার ছোট ভাইকে হত্যা করবে তারা। আর ওবায়দুল কাদেরের রাজনীতি এই নোয়াখালীতে চিরদিনের জন্য নির্বাসনে পাঠাবে। এটার মূল কারণ হচ্ছে একরাম সাহেবের কাছে খবর এসেছে উনি আর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নাই এবং নিজাম হাজারী খবর পেয়েছেন আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে উনি আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি আরও তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে সারাদেশে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা।এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলের বিরোধীপক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত হন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে আদালতে। গত ৩১ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডি থেকে তিনি দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এছাড়াও তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।
|
