|
উচ্চবিত্তরা দেবেন ১০০ টাকা, নিম্নবিত্তরা ৫০
|
|
সময় নিউজ বিডিঃ উচ্চবিত্তরা দেবেন ১০০ টাকা আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা দেবেন ৫০ টাকা—মাসে এমন ফি নির্ধারণ করে বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের নতুন ব্যবস্থাপনার কথা ভাবছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নতুন নিয়মে একটি ওয়ার্ডে একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই এ কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে একটি ওয়ার্ডে একাধিক প্রতিষ্ঠান বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করছে। ফি নিচ্ছে ইচ্ছেমতো। ডিএনসিসির সর্বোচ্চ ফোরাম বোর্ড সভায় গত সোমবার এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিগগিরই নতুন ব্যবস্থাপনায় বর্জ্য সংগ্রহের কাজ চালু হবে বলে জানিয়েছে সভা সূত্র। সভা সূত্রে জানা যায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা ঠেকানোর পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন ব্যবস্থাপনায় কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য এলাকাভেদে ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যে এলাকায় তুলনামূলক উচ্চবিত্তদের বসবাস, সেখানে মাসে ১০০ টাকা এবং তুলনামূলক অনুন্নত এলাকায় ৫০ টাকা করে নেওয়ার প্রস্তাব বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা বর্জ্য সংগ্রহের কাজ করবেন, তাঁদের আলাদা পোশাক পরিধান করা, হ্যান্ড গ্লাভস পরা, নির্ধারিত ফির বেশি না নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি কঠোর নির্দেশনা থাকবে। বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের কাজে বাসিন্দারা এবং করপোরেশন সন্তুষ্ট কি না, এটা নিয়েও বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে। নতুন নিয়মে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যেই পরিবেশসম্মতভাবে বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহের পর করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে এসব ফেলতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোর্ড সভা সূত্র বলছে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে, টানা তিন বছর একটি ওয়ার্ডে এই কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানকে করপোরেশন নির্ধারিত ফি জামানত (ফেরতযোগ্য) হিসেবে রাখতে হবে। এই টাকার পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি। ডিএনসিসি এলাকায় ৫৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহের কাজটি বর্তমানে বেসরকারিভাবে বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (পিডব্লিউসিএসপি) করছে। যারা কেবল করপোরেশন থেকে নিবন্ধন নিয়ে এ কাজ করছে। বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করে না দেওয়ার কারণে ইচ্ছেমতো ফি আদায় করছে এসব প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি ওয়ার্ডে একটি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহের কাজ চালু করা হয়েছে। ওয়ার্ডভিত্তিক যেসব প্রতিষ্ঠান এই কাজ নিয়েছে, তাদের এক বছরের জন্য করপোরেশনের রাজস্ব খাতে অফেরতযোগ্য ১২ লাখ টাকা করে জমা দিতে হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে দোকানপ্রতি ৩০ টাকা এবং বাসাবাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ এলাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। |
