|
আলুর দাম দুই দিনে কমল ২৫ টাকা
মো: ফয়জুল আলম
|
|
নিউজ ডেস্কঃ জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় এবার ৩৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু রোপণ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে। দাম বেশি পেয়ে কৃষকরা আলু তুলতে শুরুও করেছেন। ফলন গত মৌসুমের চেয়ে বেশি। তবে দাম নিয়ে প্রশ্ন তাদের। দুদিন আগে পাইকারি বাজারে জাতভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা কেজি দরে। গতকাল শুক্রবার সেই আলু বিক্রি হয় ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় আগাম জাতের আলু চাষিরা পড়েছেন বেকায়দায়। আলু চাষে খরচ বৃদ্ধি পেলেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছে না বলে জানান কৃষকরা। তাই তারা ভুগছেন হতাশায়। চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আলু চাষাবাদে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। আলুর ফলন বেড়েছে। দুদিন আগে যারা আলু উত্তোলন করেছে তারা সবাই লাভের মুখ দেখেছে। কিন্তু বর্তমানে যারা আলু বিক্রি করছেন তারা আর লাভের মুখ দেখছেন না। চাষাবাদ, সার, বীজ, সেচ ও শ্রমসহ সব খরচ মিলে সমানে সমান হচ্ছে। আবার ২-১ জনের বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা লাভ টিকছে। বাজার যদি আরও কমে যায় তাহলে এ লাভ তো দূরের কথা আসলই টিকবে না। গত বুধবার জাতভেদে প্রতি মণ আলু (৪০ কেজি) ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। সেই আলু গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে। ফলে পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি আলু ২৫-২৬ টাকা দরে বিক্রি হয়। এতে করে প্রতি মণ আলুর দাম কমে নেমেছে অর্ধেকে। ফলন বাড়লেও দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় চাষিরা। আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। গত বছরের তুলনায় এবার ২২৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ বেশি হয়েছে। বিভিন্ন মাঠে ক্যারেজ, রোমানা, স্ট্রিক, গেনোলা, মিউজিকা, ফ্রেশ, ফাটা পাকরি, বটপাকরি, রোমানা, ১২-১৩, সাদা সেভেন-সহ হরেক জাতের আলু রোপণ হয়েছে। শুক্রবার সকালে কালাই পৌর শহরের বালাইট মোড়ে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পাশে জমি থেকেই আলু বিক্রি করছিলেন হযরত আলী নামে এক কৃষক। তিনি বলেন, ‘১০ শতক জমিতে সাদা সেভেন জাতের আগাম আলু রোপণ করেছিলাম। খরচ হয়েছে ১১ হাজার টাকা। আলু হয়েছে ১৫ মণ। বিক্রি করেছি ১ হাজার ১০০ টাকা মণ দরে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। লাভ হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই আলু দুই দিন আগে বিক্রি করলে লাভ টিকত ১৯ হাজার টাকা। কাঁচা মালের এই অবস্থা। বলার কিছুই নেই।’ |
