|
বেড়েছে গরুর মাংসের দাম
মো: ফয়জুল আলম
|
|
নিউজ ডেস্কঃ গেলো বছরের শেষে বিলাসিতার মুকুট ছেড়ে গরুর মাংস নেমেছিলো সিংহাসন থেকে। এক ধাপে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে ২০০-২৫০ টাকা কমে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে এসেছিল গরুর মাংসের দাম। সব শেষ ভোক্তা অধিকার, বাজার নিয়ন্ত্রণকারী ও ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় বৈঠকের পর সাংগঠনিক ভাবে ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয় গরুর মাংসের দাম। তবে এক মাস না পেরুতেই আবারও দাম বেড়েছে গরুর মাংসের। নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা না করে ৫০-১০০ টাকা বেশিতেই গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। কেন বাড়াতে হলো গরুর মাংসের দাম? এমন প্রশ্নে বিক্রেতারা দিচ্ছেন নানা অজুহাত। নির্বাচনের পর গো খাদ্যের দাম বাড়ায় খামারিদের থেকে সস্তায় গরু কিনতে পারছেন না বলে দাবি তাদের। তাই মাংসের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে, বলছেন ব্যবসায়ীরা। তেজগাঁও নাখালপাড়ার “মামুন গোস্ত দোকান” এর স্বত্বাধিকারী আশরাফুল বলেন, ‘নির্বাচনের পর গরুর খাবারের দাম বেড়েছে তাই আমরা বেশি দামে গরু কিনতে বাধ্য হচ্ছি। আগের দামে বিক্রি করলে আমাদের অনেক লস হচ্ছে তাই বাড়ানো হয়েছে।’ মায়ের দোয়া গোস্ত বিতানের বিক্রেতা গফুর হোসেন বলেন, ‘গরু পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই মাংস বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’ খোকা ভাই গোস্ত বিতানের স্বত্বাধিকারী খোকা বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নাই, সবাই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে আমাদেরও করতে হবে। তাছাড়া শীতে গরু পাওয়া যাচ্ছেনা। আর খামারিদের খরচ বেশি হওয়ায় তারাও বেশি দাম ছাড়া গরু বিক্রি করছে না। গো খাদ্যের দাম বেশি পরে তাদের।’ গো-খাদ্যের দাম আসলেও বেড়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন কিছু খামারি ও গো-খাদ্য ব্যবসায়ীর সাথে। একাধিক গো-খাদ্য বিক্রেতা বলেছেন, গো খাদ্যের দাম স্বাভাবিক আছে আগের মতই ৷ দুইদিন আগে ৫ টাকা দাম বাড়লেও তা এখন তা আবার কমেছে ৷ এদিকে খামারিরাও বলছেন একই কথা। নির্বাচনের আগে গো খাদ্যের যা দাম ছিল তার থেকে অনেক কম মূল্যে বাজারে মিলছে গো-খাদ্য। ফলে গো-খাদ্যের অজুহাতে গরুর মাংসের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই । |
