|
কাশিয়ানীতে শাশুড়ির হাতে পুত্রবধি খুন,দায় স্বীকার করলেন শাশুড়ি।
মোঃ আশরাফুজ্জামান
|
|
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শাশুড়ির হাতে পুত্রবধি খুন। দায় স্বীকার করছেন ঘাতক শাশুড়ি।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭/০৮/২০২৪ইং মঙ্গলবার ভোর টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে।ঘটনার খবর পেয়ে কাশেনী থানা পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে সূরা তাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা সদরের ২৫0 শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে। জানা গেছে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শঙ্করপাশা গ্রামে মোঃ হাবিবুর রহমান সিকদারের মেয়ে সাবিকুন্নাহার পপি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স পাশ করে। ওই বছরই তাকে খুলনা জেলার রূপসা থানার মোহাম্মদ মকবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রায়হান পারভেজ এর সাথে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ধুমধাম করেও বিবাহ দেয়া হয়। মোঃ রায়হান পারভেজ স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে স্বামী ও শাশুড়ির সাথে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আসমা জুয়েলার্সের মালিক মোঃ আব্দুল মজিদের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ওই ভাড়া বাড়িতে মঙ্গলবার ভোরে শাশুড়ি পুত্রবধূ পপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিহত পপির মরা দেহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী রায়হান পারভেজ, শাশুড়ি লিপি বেগম, জেলার কাশিয়ানী উপজেলা শংকরপাশা গ্রামে পপির গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসে।তারা উপস্থিত সকলকে জানায় পপি ঘুমের মধ্যেই মারা গেছে।
নিহত পপি নিকট আত্মীয়রা লাশের শরীরে কয়েকটি ক্ষতচিহ্ন দেখে স্থায়ানীয় চেয়ারম্যান আনজুরুল ইসলাম ও নিকট আত্মীয় শাশুড়ি লিপি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান আমার পুত্রবধূর বিভিন্ন অসুখ আছে। অনেক টাকা খরচ হবে তাই তাকে রাত সাড়ে বারোটায় ঘুমের ওষুধ খাওয়াই। ভোররাতেই তাকে গলা টিপে শ্বাস রোধ করি এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করি। নিহতের বাবা মোঃ হাবিবুর রহমান সিকদার কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কাশিয়ানী থানার অফিসার্স ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানান লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
|
