|
পটুয়াখালীর বাউফলে মেয়ে জামাতার হাতে শশুরের ঘড়ে আগুন!!
মু,হেলাল আহম্মেদ (রিপন)
|
|
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় মাদকাসক্ত জামাইয়ের কাছে মেয়ে দিতে না চাওয়ায় শ্বশুরের বসত ঘরে আগুন দিয়েছে জামাই। গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে বাউফল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মোসলেম হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময়ে শ্বশুর রফিক হাওলাদার ও চাচা শ্বশুর শাহআলম হাওলাদারের ২টি বসত ঘর সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের মেয়ে আখি বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছিলো একই বাড়ির ফয়সাল হাওলাদারের সাথে। বিয়েতে রাজি ছিলো না আখির বাবা। সম্প্রতি ফয়সাল মাদক ব্যবসা ও সেবনে জড়িয়ে পড়ে এবং কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল ফয়সাল। তাই মেয়েকে বাসায় নিয়ে এসে ফয়সালের সাথে ডিভোর্সের ব্যবস্থা করেন আখির বাবা রফিকু।
সোমবার দুপুরে আখিকে নিয়ে যেতে শশুরের ঘরে আসে ফয়সাল। এসময় আখিকে নিয়ে যেতে বাঁধা দিলে ফয়সাল তার শাশুড়িকে মারধর করেন। তখন আখি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আসতেছে খবর পেয়ে ফয়সাল কেরোসিন ঢেলে শশুরের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। একই আগুনে তার চাচা শশুর বাক-প্রতিবন্ধী শাহআলম হাওলাদারের ঘরও পুড়ে ছাই হয়। ফয়সাল আখি দম্পতির দেড় বছরের ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুড়ে যাওয়া ঘর মালিক বাক-প্রতিবন্ধী শাহআলম হাওলাদারের স্ত্রী নুননাহার বলেন, বউ দিতে না চাওয়ায় আমার ভাসুরের ছেলে ফয়সাল তার শ্বশুরের ঘরে আগুন দিয়েছে। পাশাপাশি ঘর হওয়ায় সেই আগুন আমার ঘরেও লাগেছে।
প্রতিবেশী সবুজ সরকার বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে ফয়সাল তার শ্বাশুড়িকে মারধর করে। অসুস্থ শ্বাশুড়ি বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ফাঁকা ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় ফয়সাল।
বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আঃ লতিফ খান বাবুল বলেন, ফয়সাল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ফয়সালের পরিবারকে বেশ কয়েকবার বলার পরেও তারা ফয়সালকে সংশোধন করেনি বলেই আজকে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বাউফল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মাদকাসক্ত ফয়সাল ২টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। ফয়সালের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
|
