নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজ গরু চুরির প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করায়, উল্টো চুরি মামলার আসামী হওয়া এক প্রধান শিক্ষকের স্বপক্ষে এলাকায় মানববন্ধন করেছে স্থাণীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। এতে মামলাটি মিথ্যা দাবী করে ওই মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে শিক্ষকসহ মামলাভুক্তদের অহেতুক হয়রানি থেকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানানো হয়।

মঙ্গলবার ( ২৩ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং-এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে যে-গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে হারবাং ইউনিয়নের করম মুহুরী পাড়াস্থ বাড়ী হতে উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল আহামদের দু’টি গরু চুরি হয়। বেলাল আহামদ এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে চোর ও চোরের সহযোগীদের চিহ্নিত করে গত ১৪ জানুয়ারী ০৬ জনকে আসামী দিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন (নং- সি-আর. ৯৩/২৪), যা থানা পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন ১৫ জানুয়ারী বেলাল আহামদের দায়েরকৃত চুরি মামলার আসামী জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী তাহেরা আক্তার মুন্নী বাদী হয়ে বেলাল আহামদকে ১ নং আসামী ও তার পাড়া-প্রতিবেশী সহ মোট ৭ জনকে আসামী দিয়ে চকরিয়া থানায় মামলা (নং-২৬/২৬) রুজু করে। উক্ত মামলায় গত ২২ জানুয়ারী আদালত থেকে আসামীগণ জামিন লাভ করেন। মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন- ভান্ডারীর ডেবা জামে মসজিদের ইমাম মৌলানা আবু ইউসুফ, উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম জমিদাতা কে.এম. নাছির উদ্দীন, উত্তর হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ যথাক্রমে নাছির উদ্দীন, কোরবান আলী, মিজানুর রহমান সহ বিভিন্ন অভিভাবকবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন- এলাকার খারাপ লোকদেরকে নানাভাবে পশ্রয়দানকারী কতিপয় ব্যক্তির প্ররোচনায় একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দিনে দুপুরে এলাকার এক চিহ্নিত চোরের স্ত্রীর গলার চেইন চুরির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা খুবই দুঃখজনক। বক্তাগণ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য এর আগে গত ১০ জানুয়ারী জামাল উদ্দীন, পিতা- ছগির আহামদ নামক এক ব্যক্তি কর্তৃক চকরিয়া থানায় দায়েরকৃত একটি চুরি মামলায় (মামলা নং-১৭) জাহেদুল ইসলাম চোরাই মাল সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং বর্তমানে উক্ত জাহেদুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছে।