|
পটুয়াখালীতে মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
|
|
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লাবলু কাজীসহ কয়েকজনকে নিয়ে মিথ্যা, বানেয়াট, কাল্পনিক ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য দিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও অপপ্রচার কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
গতকাল শুক্রবার ২৩ শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী শামিম আহমেদ।
তিনি বলেন, আমার শ্যালক বাদশা মৃধা মাধখালী ইউনিয়নের উত্তর চৈতা মৌজার ৪৮নং এসএ খতিয়ানের ৮৯০ ও ৮৯১ নং দাগ থেকে, উক্ত জমির রের্কডীয় মালিক বশির মৃধা গং দের কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যাহার দলিল নং ১৭৯৯, তারিখ-৩১/০৮/২০২৩ইং সাল। উক্ত জমি বাদশা মৃধার নামে নামজারী ও খাজনাদী পরিশোধ করা হয়েছে। বাদশা মৃধা যখন তার ক্রয় কৃত সম্পত্তিতে ভোগ দখলের জন্য বশির গং দের নিকট যান, জমির মূল মালিক বশির গং উক্ত জমি বাদশা মৃধাকে বুঝিয়ে দেয়ার পরে, সুমন ও তার পরিবার অযাচিত ভাবে উক্ত জমির মালিকানা দাবি করেন এবং মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে বশির মৃধা কে প্রতিবাদী করে একখানা অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরে ইউপি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে গ্রাম্য আদালতে বিরোধ নিরসনের লক্ষে স্ব-স্ব পক্ষের শালিস মনোনিত করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ এসআই জাকির হোসেন ও এএসআই আকতার হোসেনের উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদে শালিস বৈঠক শুরু হয়। পক্ষদ্বয়ের সকল শালিস গণ উপস্থিত থেকে উভয় পক্ষের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে, বিরোধীয় জমির ৮৯০নং দাগের মোট জমি-২৪ শতাংশ। ইহা হতে ৯ শতাংশ জমি, সুমন গং ও বাকি জমি মূল মালিক বশির মৃধা কে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী উক্ত ২ জন শালিসগণ বিরোধীয় জমিতে গিয়ে শালিসের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পক্ষদ্বয়কে তার জমি বুঝিয়ে দেয়। পক্ষদ্বয় শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানিয়া রোয়েদাদ নামায় উপস্থিত শালিস গণের সম্মুখে স্ব-স্ব পক্ষের স্বাক্ষর করেন। রোয়েদাদ নামার কপি মির্জাগঞ্জ থানা ও কাঠালতলী তদন্ত কেন্দ্রে জমা প্রদান করা হয়েছে।
এসময় সুমন মৃধা মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে বলেন, বাদশা মৃধা কেন বশিরের জমি ক্রয় করিল। আমি যেখানে পাবো, সেখানেই শামিম মৃধা ও বাদশা মৃধা কে, এলাপাতারি কোপাবো, যাহা আমি মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এছাড়াও সুমন গং রা আমাদের কোন প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমার শালক জমি ক্রয় করেছেন বশির মৃধার কাছ থেকে। সালিস বৈঠক হয়েছে বশির মৃধা ও সুমন গংদেও সঙ্গে। বশির মৃধা জমি পাইলে, আমার শ্যলক পাবো, না পাইলে, পাবে না। সুমন মৃধান সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্বের প্রশ্নই আসে না। এখানে জমির মূল মালিক বশির মৃধা উপস্থিত আছেন, আপনারা তার বক্তব্য শুনতে পারেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, আমরা রাজিৈতক ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত। একটি কুচক্রি মহলের উস্কানীতে উক্ত সুমন মৃধা গং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানেয়াট, কাল্পনিক ও কুরুচি সম্পন্ন অপপ্রচার করেছেন। এতে আমাদের সামাজিক মর্যাদাক্ষুন্ন এবং মানহানী হয়েছে। আমরা পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করছি। আমরা সুমন গং দের অত্যাচারে অতিষ্ট। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের রাস্তা ঘাটে হেনস্তাসহ নানান ভাবে হয়রানী করে করিতেছে। আমরা আতংকে আছি। আমি ও আমার ভায়রা স্ব সম্মানে বাঁচতে চাই।
|
