|
কাশিয়ানীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে সৌদি প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ।
মোঃ আশরাফুজজামান,গোপালগঞ্জ
|
|
কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কাশিয়ানীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে সৌদি প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সৌদি ফেরত ওবায়দুরের বিরুদ্ধে।সৌদি প্রবাসী মাহমুদ খালাসি বলেন আমি দীর্ঘ দিন পর সৌদি আরব থেকে বাড়িতে গেলে আমার বাল্য বন্ধু ওবায়দুর, ফুরকান ও সহিদুল আমার সাথে স্বাক্ষাৎ করে বলে দোস্ত তুইতো সৌদি আরব গিয়ে ভালো আাছিস, তা তুই যদি আমাদের সৌদি নিতি তাহলে আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে ভালো থাকতে পারতাম।অনেক অনুরোধ করার ফলে আমি বাধ্য হয়েই ওবায়দুরকে খরচের একলক্ষ টাকা বাকি থাকার পর ও সৌদি আরব আনি।ওবায়দুর সৌদি আরব প্রায় ১বছর ৬ মাস থাকার পর নিজ পরিবারের কথা মনে করে এবং কাজের সাইট থেকে দুটি মোবাইল ও নগদ প্রায় বাংলাদেশী টাকায় ৭০০০০ টাকা চুরি করে আকামা থাকার পর ও নিজে সৌদি পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে দে-শে চলে আসে।এখন সে আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানব পাচারের অভিযোগ এনে কাশিয়ানী থানায় মামলা করেছে। আমি এমন নক্করজনক ঘটনার বিচার দাবী করি এবং আর কোন প্রবাসীকে যাতে হয়রানি না করতে পারে।এব্যাপারে অভিযোগকারী ওবায়দুর বলেন মাহমুদ খালাসি আমাকে ১৮ মাসের আকামা করে দিবে বলে সৌদি আনে।আমি ৬ মাস কাজ করার পর আমার আকামার মেয়াদ শেষ হলে আমি মাহমুদকে আকামা করে দিতে বলি। এতে সে আমার কাছে আর ও ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।৬ মাসে আমি যা ইনকাম করি তা আমি আকামা করতে মাহমুদের হাতে তুলে দিই।মাহমুদ দীর্ঘ দিন আমাকে আকামা না করে দিলে আমি সে দেশে অবৈধ হয়ে পড়ি।একদিন হঠাৎ করে সৌদি পুলিশ আমাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে আমি ক্ষতি গ্রস্ত হয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি আমার আকামার টাকা ফেরত চাই। আমি মাহমুদকে বিশ্বাস করে ঠকছি। মাহমুদ খালাসির পিতা আলমগীর খালাসি বলেন আমার ছেলে দীর্ঘ দিন পর সৌদি আরব থেকে বাড়িতে আসলে ওবায়দুর হাতে পায়ে ধরলে সে তাকে সৌদি আরব নিতে বাধ্য হয়।সে নিজে কষ্টের কাজ করতে না পেরে সৌদি পুলিশের নিকট ধরা দিয়ে দেশে চলে আসে।এখন সে আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে থানায় মামলা করেছে। আমার ছেলে তাকে উপকার করতে গিয়ে এখন দুর্নামের ভাগিদার হচ্ছে।
|
