|
কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না : মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
|
নিউজ ডেস্ক: মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেছেন, বিশেষ সিন্ডিকেটের জন্য জলাশয়ে প্রকৃত মৎসজীবীরা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। হাওর বিল নদীসহ সব জলাশয় প্রকৃত মৎস জীবিদের দায়িত্ব দেয়ার ব্যবস্থা চলছে। ডিমসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে পাবনা জেলার মৎস ও প্রাণী সম্পদ এর প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা সুলতানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেন, ডিমসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা। দেশের বড় বড় ডিম উৎপাদন কম্পানিগুলো চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। বাকি ৮০ শতাংশ সরবরাহ করতে হয় প্রান্তিক খামারিদের। মুরগী ডিম বাচ্চা উৎপাদনকারী এবং ভোক্তার মাঝে কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী থাকবে না। বেশ কয়েকটি কম্পানি বিভিন্নভাবে ডিম, মুরগী, বাচ্চা উৎপাদনকারীদের অধীনে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে স্বাধীনভাবে ব্যবস্যা করতে পারে সেদিকে নজর রাখছি। কোন কম্পানির অধীতে যাওয়া যাবে না।
ডিম উৎপাদন ও ভোক্তার মাঝে মধ্যস্বত্ত্বভোগী বড় সমস্যা। ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার চেষ্ঠা চলছে। বিদুৎ বিলে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। ডিম ও মাছ উৎপাদনে বিদুৎ বিল কৃষি বিলে আনার চেষ্ঠা চলছে।
জেলা প্রশাসক মোহম্মদ মফিজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আকতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ সচিব সাঈদ মো. বেলাল হায়দার। মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একে মপহএম মুশাররফ হোসেন, মৎস জীবি গোপাল চন্দ্র হালদার, শাজাহান আলী, আলমগীর হোসেন, শাকিলা খাতুন প্রমুখ।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন ও সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. ওমর আলী আলাদাভাবে বিভাগীয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
|
