|
কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক শুমারীর টাকা আত্নসাতের অভিযোগ।।
মো: এরশাদুল ইসলাম
|
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান কতৃক অর্থনৈতিক শুমারীর বিলের টাকা আত্নসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আইটি সুপারভাইজার ও গননাকারীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা, কাওসার আহম্মেদসহ ভুক্তভোগীরা।
লিখিত বক্তব্যে আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের নির্দেশে জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম সুপারভাইজার ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা গণনাকারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিসহ অপর গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা ১৩৬টি ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর বিল বাবাদ জনপ্রতি ১৫ হাজার ও প্রশিক্ষণ ফি জনপ্রতি ১৬’শ টাকা হিসাবে ৩৩ হাজার ২০০ টাকা। উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান এই বিলের টাকা সাইফুল ইসলাম ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তাকে পরিশোধ না করে গোপনে নিজের ও তার শশুর মোঃ আঃ ছালাম (অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন। এই টাকা চাইতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।
আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন অনেকের ভূয়া নাম ব্যবহার তিনি কয়েক লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। মহিপুরের জোনাল অফিসার হিসাবে নিজ শ্যালককে নিয়োগ দিলেও তিনি কোন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেননি এবং নিয়োগ থেকে অদ্যাবধি কোন দায়িত্ব পালন না করলেও বিল, ভাতা গ্রহন করছেন। ধানখালীতে ৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও একজন সুপারভাইজার দিয়ে কাজ করিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে আত্নসাৎ করেছেন। সোহেল নামে একজন আইটি সুপারভাইজারকে দিয়ে সুপারভাইজার ও গণনাকারী দায়িত্ব পালন করিয়ে বাকী বিলের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। কলাপাড়া উপজেলায় ৫টি জোনের প্রতিটি জোনে ১জন আইটি সুপারভাইজার, ৬-৭ জন সুপারভাইজার এবং ৪৮ গণনাকারী কাগজে কলমে নিয়োগ থাকলেও ৫০ শতাংশের কম নিয়োগ দিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়োগ না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন।
কিন্তু ভুক্তভুগি ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তার প্রমাণ সরূপ ICMS সিটের ২৫ নম্বরে ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তার অন্তরভূক্তির প্রমাণ পাওয়া যায়।
![]() |
