|
বর্ষার ফুল কদম
মোঃ আশরাফুজ্জামান
|
|
মোঃ আশরাফুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃকদম প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর একটি ফুলের নাম।
আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টিতে ফুটে কদম ফুল। আষাঢ় – শ্রাবণের অঝোর ধারায় পত্রপল্লবে মুখরিত থাকে চারিদিক।কদম ফুল আষাঢ় মাসের আগমনী বার্তা দেয়। কবির ভাষায় কদম হচ্ছে বর্ষার দুত।
জানা যায় চিন দেশেই প্রথম কদম ফুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। বাংলা সাহিত্যে, কবিতায়,গানে,চিত্রে কদম ফুল বার -বার উঠে এসেছে। কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গান,অনেক কবিতা ও গল্প। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতায় কদম ফুল নিয়ে রচিত
” ধন্য কদম কেশর ঢেকেছে
আজবনতলে,ধুলিমৌমাছিরা কেয়া বনের পথ গিয়েছে ভুলে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কদম ফুল নিয়ে লিখেন অনিন্দ্য সুন্দর কবিতা –
রিম ঝিস্মিম,রিম ঝিস্মিম নামিল দেয়া।
দেখি শিহরে কদম বিদরে কেয়া।
বৃষ্টি ছাড়া বর্ষার আগমনী বার্তা দেওয়া কদম ফোটে না। গাছ যতই বড় হোক বৃষ্টি না হলে যেমন কদম ফুল ফোটে না।তেমনি বৃষ্টি স্বল্পতায় ফুল আকারে ছোট হয়।
রাধাকৃষ্ণের বিখ্যাত প্রেম সংগীতে আছে – প্রাণ সখীরে ঐশোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে?
আমাদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার গানে গেয়েছেন বাঁশি বাজায় কপ কদম তলায়,ওগোললিতে,শুনে সরে না পা চলিতে।
প্রিয় ফুল কদমের মঞ্জুরি একক ও গোল। ছোট – ছোট অনেক গুলো পাপড়ি নিয়ে কদম পুর্নতা পায়।কদম ফুল পুর্ন প্রস্ফুটিত মঞ্জুরির রং সাদাহলুদ মেশানো গোল বলের মত
ঝলমলে গাছ আকারে অনেক বড় হয়।পরিনত বয়সে গাছের পাতার তুলনায় অপরিণত বয়সের গাছের পাতা অনেকটা বড় হয়।বিশাল এ গাছের কাঠ খুব নরম হওয়ায় এ গাছ দিয়ে কোন প্রকার ব্যবহারিক ফার্নিচার তৈরি হয় না।তবে তা জ্বালানি ও দিয়াশলাই তৈরিতে ব্যবহারিত হয়। কদম গাছ ভৈষজ গুন সমৃদ্ধ। বাকলের রস জ্বরে কার্যকরী।পাতার রস ছোটদের কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।
বাকল ও পাতা ব্যথা নাশক।
তাছাড়া মুখের ঘায়ে কদমের পাতার রস খুব উপকারী।
|
