|
লক্ষ্মীপুর-২(রায়পুর-সদর)আসনে উপনির্বাচন,এমপি হওয়ার স্বপ্নে সম্ভাব্য প্রার্থী যারা
এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
|
|
সময় নিউজ বিডিঃ কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এমপি পদশূন্য ও উপ-নির্বাচন নিয়ে এ আসনে এমপি হওয়ার স্বপ্নে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন যারা। তাদের মধ্যে অনেকেই সম্প্রতি ঘনঘন ঢাকায় আসা যাওয়া করছেন। তারা এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যদিও করোনাকালে অধিকাংশই নেতাদেরকে কাছে পায়নি এ এলাকার জনগণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Facebook এ দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কয়েক জন নেতার অনুসারীরা আগাম প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। ‘প্রিয় নেতার’ রঙিন ছবি জুড়ে করা পোস্টার দিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এরমধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনের রশীদ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাদের পক্ষে আলাদা ও বিক্ষিপ্তভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি ইতিমধ্যে ওই নেতাদের পোস্টার-পেস্টুনও বিভিন্ন এলাকায় সাঁটিয়েছেন।
অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়ার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। বিগত নির্বাচনেও তিনি এ আসনের ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সাবেক দুইবারের এমপি খায়ের ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক এম আর মাসুদ ও নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর উপজেলার বোরহান উদ্দিন মিঠু সম্ভাব্য প্রার্থী। এ ছাড়াও এই আসনে এমপি’র পদ হারানো পাপুলের কন্যা কাজী ওয়াফা ইসলাম প্রার্থী হচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাপুল সমর্থকরা প্রচারণা চালিয়েছেন। উল্লেখ্যঃ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ নাটকীয়ভাবে কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এমপি নির্বাচিত হন। রাজনীতির বাইরে থাকা ‘টাকার সাগর’ নামে খ্যাত এ ব্যাক্তি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ভর করে তখন স্বতন্ত্র এমপি হয়েছিলেন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরুতে মানব ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই মামলায় পাপুল এমপি একই বছর ৬ জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার হন। গত ২৮ জানুয়ারি ওই দেশের ফৌজদারি আদালত পাপুলের ৪ বছর কারাদন্ড দেন। পাশাপাশি ৫৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলামও কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের স্বতন্ত্র এমপি। মামলার রায়ের কপি দেশে পৌঁছানোর পর সোমবার জাতীয় সংসদ পাপুলরের এমপি পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে। কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এমপির দীর্ঘ সময় অনুপস্থিতির কারণে এ আসন এলাকায় প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এখন উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে এই এলাকার প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল। |
