|
ইয়েমেনে চতুর্থ দফায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের
মো: ফয়জুল আলম
|
|
নিউজ ডেস্কঃ ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে চতুর্থ দফায় হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার রাতে এ কথা নিশ্চিক করেছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। গত ১১ জানুয়ারি থেকে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ বাহিনী। খবর বিবিসির। পেন্টাগন জানায়, বুধবারের হামলায় হুথিদের অন্তত ১৪টি মিসাইল ধ্বংস করেছে মার্কিন বাহিনী। মিসাইলগুলো লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পূর্ব কমান্ড-সেন্টকমের অধীন মার্কিন নেভি জাহাজ থেকে তমাহক মিসাইল দিয়ে হুথিদের ওই ক্ষেপণাস্ত্র গুদামে হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথিরা সম্প্রতি লোহিত সাগরে তেলআবিবমুখী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ বুধবারই যুক্তরাষ্ট্র মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায় হুথি বাহিনী। সেন্টকম জানায়, এডেন উপসাগরে এমভি জেনকো পিকার্ডি জাহাজকে লক্ষ্য করে হুথিরা একমুখী ড্রোন হামলা করেছে। জাহাজটির কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে হামলায় কোনো ক্রু সদস্য আহত হয়নি। চলতি সপ্তাহে এটি কোনো মার্কিন জাহাজে হুথিদের দ্বিতীয় হামলা। এর আগে সোমবার হুথিরা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আরেকটি মার্কিন জাহাজে হামলা চালায়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এটি সাগরে হামলা শুরুর পর থেকে কোনো মার্কিন জাহাজে হুথিদের প্রথম সফল আক্রমণ। জাহাজে হামলা শুরুর পরই হুথিদের ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সাগরে আন্তর্জাতিক যৌথ বাহিনী মোতায়েন করে। এরপর একপর্যায়ে গত ১১ জানুয়ারি ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথবাহিনী। এই অভিযানে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা সহায়তা করছে। সম্প্রতি হুথিদের বৈশ্বিক সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এর আগে হুথিদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে জঙ্গিদের চলমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে সিদ্ধান্তে বদল আনা হয়েছে। |
