কাশিয়ানীতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগ
মোঃ আশরাফুজ্জামান
|
![]() মোঃ আশরাফুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী তে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরহাটপাড়া গ্রামে। চরবাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাদিসুর রহমানের স্ত্রী লিভিয়া বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গরু ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বসির আহমেদসহ স্থানীয়দের হয়রানি
অভিযোগউঠেছে। রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও লিভিয়া বেগমের শশুর ওবাইদুর রহমান বকুল জানান আমার ছেলে হাদিসুর চোরাই গরু গোয়ালে আইনা থুইছে।স্থানীয় লোকজন গিয়ে তার গোয়াল থেকে নিয়ে আসছে। আমার ছেলের চলাচলতি ভাল না।আমি তাকে এলাকার চোর বাটপারদের সাথে চলতে নিষেধ করি।আর তাই সে বেশি করে করে।
মহিষাপাড়া করফা গ্রামের বাসিন্দা শিউলি খানম বলেন আমি গরিব মানুষ।দুটি গরু পালন করতাম। গত এক মাসে আগে আমার গরুটি চুরি হয়ে যায়।
আমার পালের গরুটি চুরি যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়ছি।আমি আমার মেয়ে দীর্ঘদিন খোঁজার পরে চরবাট পাড়া গ্রামের হাদিসুরের গোয়াল খুঁজে পাই। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও লোকজন নেই উদ্ধার করি। আমিও চোরের বিচার দাবি করছি।হাদিসুরের শাশুড়ী জাহানারা জানান আমার মেয়ে জামাই চোরাই গরু কিনছিল।সেই গরু আমার গোয়ালে পেয়ে স্থানীরা নিয়ে গেছে। সেই সাথে আমার তিনটি গরু ও ছিল।জোর করে লিবিয়া বেগমের গরু ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনজুরুল ইসলাম আঞ্জুর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান হাদিসুর রহমান একজন গরু চোর।স্থানীয় লোকজন ও আমি নিজে উপস্থিত থেকে তার গোয়াল থেকে চোরাইকৃত ৪ টি গরু উদ্ধার করি। গত ১৪/১২/২০২৪ইং গ্রাম্য সালিশে একটি গরু প্রমাণস্বরূপ প্রকৃত মালিকে সাইফুলের নিকট হস্তান্তর করি। বাকি তিনটি যে লিবিয়া বেগমের গরু তা প্রমাণে ১৫ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি। দীর্ঘদিন যাবত লিবিয়া বেগম্য তার স্বামী হাদীসুর তার গরু প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং একটি গরুর দুইজন মালিক দাবি করায় স্থানীয়দের পরামর্শে গরু তিনটি বিক্রি করে বিক্রিত টাকা আমার নিকট গচ্ছিত আছে এবং আমি নিজে চোরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করি।একই গ্রামের ভুক্তভোগী বশির আহমেদ জানান লিভিয়া বেগমের গোয়াল ঘর থেকে চোরাই কৃত গরু উদ্ধার করলে সে আমার বিরুদ্ধে গরু ছিনতাইয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সামাজিকভাবে হে প্রতিপন্ন করেছে। কাশিয়ানী থানার ওসি শফিউদ্দিন খানের কাছে গরু ছিনতাইের
অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগকারী লিভিয়া বেগমের
অভিযোগের বিস্তারিত
জেনে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
|