|
কলাপাড়ায় স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন’র অভিযোগ, অন্ত:সত্তা হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি
মোয়াজ্জেম হোসেন
|
|
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে (৩৩) একাধিবার ধর্ষনে অন্ত:সত্তা করার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ হাওলাদার (৩৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে ওই নারী সোহাগ সহ দুই জনের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহাগ এবং এক সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি বালিয়াতলী ইউপির পক্ষিয়াপাড়া গ্রামে। ২০১৯ সালে ওই নারীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে সে তার সন্তান সহ ঢাকায় গিয়ে চাকুরি শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসার পরই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেয় সোহাগ। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় সে ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখাতো। পরে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে সোহাগ ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিবার জোর পূর্বক ধর্ষন করে। প্রায় ৪ মাস আগে সোহাগ তাকে বিয়ের কথা বলে ঢাকার গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় এবং ভূয়া কাজি এনে বিয়ের মিথ্যা নাটক করে। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন তারা এক সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গত ১৫ নভেম্বর ওই নারীকে ওই ভাড়া বাসায় রেখে সোহাগ পালিয়ে চলে আসে। বেশ কয়েকদিন পর স্বামীর খোজে ওই নারীও এলাকায় চলে আসে। গত ১০ জানুয়ারী ওই নারীর শাররীক অবস্থার পরিবর্তন দেখে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারে যে সে দুই মাসের অন্ত:সত্তা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি সোহাগ জানার পর ওই নারীর সঙ্গে সে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং তাদের বিয়ের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। এ ঘটনা সোহাগের পিতা মজিবুর হাওলাদারকে জানালে সে ওই নারীকে জ্বরের ঔষধ বলিয়া সন্তান নষ্ট করার পায়তারায় এমএম কিট নিয়ে সেবন করতে বলে। ওই নারী বাচ্চা নষ্ট করার ঔষধ বুঝতে পেরে খাওয়া বন্ধ করে দেন। বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিদের অবগত করার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে সে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। |
