|
রাফায় বিমান ও স্থল হামলা ইসরায়েলের, নিহত ৫০
মোঃ সাইদুল ইসলাম ইমু
|
|
নিউজ ডেস্ক: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে উদ্বাস্তুদের তাঁবুর শহর রাফায় একযোগে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার ভোরে ঘুমন্ত উদ্বাস্তুদের ওপর এ হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ ও হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রাফাহ শহরে হামলা চালালো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার মধ্যরাত পেরুনোর মাত্রই হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ভোর পর্যন্ত চলে বোমা ও কামানের গোলা নিক্ষেপ। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় ৫০ জনের মতো নিহত এবং আরও শতাধিক আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হামলা শুরু হওয়ার সময় লাখ লাখ মানুষ ঘুমিয়ে থাকায় রাফাতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা জানান, ইসরায়েলি বিমান, ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধজাহাজ হামলায় অংশ নেয়। বোমা ও গোলায় দুটি মসজিদসহ কয়েক ডজন বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার টেলিফোনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বেসামরিক নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে রাফাহ আক্রমণ না করার জন্য বলেছিলেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন রাফায় আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্বাসযোগ্য পরিকল্পনা ছাড়া ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানো উচিত হবে না। তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, রাফাহ অঞ্চলে হামাসের চারটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সেগুলো ধ্বংস করার আগে অঞ্চলটি থেকে বেসামরিক মানুষদের খালি করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। অথচ বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার আগেই হামলা চালানো হলো। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, দক্ষিণ গাজায় রাতে একটি ‘সিরিজ হামলা’ পরিচালনা করেছে তারা। তবে হামলা এখন বন্ধ রাখা হয়েছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, রাফাতে হামলা হবে বিপর্যয়কর। এটি ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণে বিধ্বস্ত উপত্যকার শেষ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ স্থান। গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে ১৫ লাখের বেশি মানুষ অঞ্চলটিতে আশ্রয় নিয়েছে। |
