|
পাকিস্তানের নির্বাচন: ভোট কারচুপির অভিযোগে আসন ছেড়ে দিলেন জয়ী প্রার্থী
মোঃ সাইদুল ইসলাম ইমু
|
|
নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর করাচি প্রধান হাফিজ নাঈম-উর-রহমান। তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল নিয়ে ছেলেখেলা করে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) ঘোষিত ফল অনুসারে করাচির পিএস-১২৯ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছিলেন হাফিজ নাঈম। কিন্তু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, ভোট বেশি দেখিয়ে তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আসলে তা ঘটেনি। পিটিআই প্রার্থী সাইফ বারি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন। হাফিজ নাঈমের দাবি, “৩১ হাজারের বেশি ভোট পড়েছিল সাইফ বারির পক্ষে। অন্যদিকে আমি পেয়েছিলাম ২৬ হাজার ভোট। এছাড়া নওয়াজ শরিফের দলের প্রার্থী পেয়েছিলেন ৬ হাজার ভোট।” কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমার ভোট চার হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার করে, নওয়াজ শরিফের প্রার্থীর ভোট ১৪ হাজার বাড়িয়ে ২০ হাজার করে এবং পিটিআইয়ের প্রার্থী সাইফ বারির ভোট ৩১ হাজার থেকে কমিয়ে ১১ হাজারে নিয়ে আসে,” হাফিজ নাঈম আরও বলেন।”এ আসনের প্রকৃত বিজয়ী সাইফ বারি। তিনি কোনো দানের আসন নিতে চান না। তাই তিনি এ আসন ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি এ আসনের এমপি হিসেবে শপথও নেবেন না। এ আসনের ওপর যার প্রকৃতই অধিকার রয়েছে, এটা তাকেই দেওয়া উচিত,” হাফিজ নাঈম ঘোষণা করেন। এদিকে ইমরান খানের দল পিটিআই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রতাশিত এক পোস্টে নাঈমের এ ঘোষণার প্রশংসা করে জানিয়েছে, “আমরা অন্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও এ ধরনের সততা প্রত্যাশা করছি। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ছাড়া গণতন্ত্র হয় না।”
|
