|
গাজায় যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে ফ্রান্সে যাচ্ছেন কাতারের আমির
সাইদুল ইসলাম ইমু
|
|
নিউজ ডেস্ক: কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ২৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পৌঁছবেন। এই সফরে তিনি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। শেখ তামিম হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবার এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এলিসি প্রাসাদ জানিয়েছে, এই সফরে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বিনিয়োগ এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার একটি সুযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং উন্নয়ন সহযোগিতা গভীর করার চেষ্টা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলিদের মুক্তি এবং গাজা উপত্যকায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা পুনরায় নিশ্চিত করবেন। শেখ তামিমের নেতৃত্বে কাতারের একটি বড় মন্ত্রী ও অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল ফ্রান্সে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই হবে ফ্রান্সে শেখ তামিমের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। এদিকে হামাস প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে কাতারের আমিরের কার্যালয় আমিরি দিওয়ান এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, হানিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ফিলিস্তিনি উন্নয়ন এবং গাজায় একটি অবিলম্বে ও টেকসই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য কাতারের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। হামাসের একটি বিবৃতি অনুসারে, হানিয়া বলেছেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় তার দল নমনীয়তা দেখিয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার রাতে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছে। কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) জানিয়েছে, শেখ তামিম ১৯৬৭ সালের সীমানার উপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ২৯ হাজার ৮৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল। |
