|
উখিয়ায় সবুজের ছায়ায় বনে ফিরছে বন্যপ্রাণী, নতুন করে জেগেছে
কায়সার হামিদ মানিক
|
|
কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার। কক্সবাজারের উখিয়াতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ধ্বংস হওয়া বনাঞ্চল আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। ২০১৭ সালে বনভূমি উজাড় করে আশ্রয়শিবির তৈরি করা হয়েছিল। নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলায় প্রায় ৮ হাজার একরের বেশি বনভূমি ধ্বংস হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। বন বিভাগ বিভিন্ন ধাপে ১ হাজার হেক্টরের বেশি বনভূমিতে গর্জন, জাম, আমলকি, বহেরা, অর্জুন, শিমুল, কদমসহ প্রায় ১৫-২০ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করেছে। এর ফলে বনের পরিবেশ আবার বন্যপ্রাণীদের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠছে। স্থানীয়রা বলছেন, এখন তারা নিয়মিত হাতি, বানর, শিয়ালসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখতে পাচ্ছেন, যা আগে অনেক বছর ধরে দেখা যেত না। থাইংখালী এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, “আগে হাতির ভয়ে রাতে থাকতে পারতাম না। এখন গাছপালা বেড়ে যাওয়ায় তারা আবার বনে ফিরে গেছে। থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ বলেন, ২০১৯ সাল থেকে বন বিভাগ নিয়মিত গাছ লাগানো এবং পাহারার কাজ করছে। এতে বন্যপ্রাণীর চলাচল বেড়েছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ। উপজেলা কৃষকদল নেতা সাদমান জামি চৌধুরী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,আট বছর পর উখিয়ার পরিবেশ তার পুরোনো রূপে ফিরে আসছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে উখিয়ার বন আবার একটি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হয়ে উঠবে। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মান্নান জানান, বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্যকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন,পুরোনো ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না হলেও, পুনঃবনায়নের মাধ্যমে আমরা পরিবেশগত ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনা আমাদের সবার দায়িত্ব। স্থানীয় প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সচেতনতা এবং বন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা আবার সবুজে ছায়া উখিয়া দেখতে পাচ্ছি। |
