|
গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির আশা দেখছে না কাতার
মো: ফয়জুল আলম সুজন
|
|
নিউজ ডেস্কঃ গাজা উপত্যকায় নির্মম হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘসহ সারাবিশ্ব থেকে যুদ্ধবিরতির চাপ, অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক বিপর্যয় কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পরিস্থিতিদৃষ্টে নতুন করে যুদ্ধবিরতির কোনো আশাই দেখছে না মধ্যস্থতাকারী কাতার। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি। মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, ইসরায়েল গাজায় হামলা আরও তীব্রতর করেছে। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের সঙ্গে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা ক্রমেই ‘সঙ্কুচিত’ যাচ্ছে। কাতারের এক কূটনীতিক বলেছেন, তবে ইসরায়েল ও হামাস উভয়পক্ষের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেটো দিয়ে নস্যাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা পর্য ন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ২৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে রবিবার পর্যন্ত ৬৪দিনে ১৮ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৪৯ হাজার ৫০০ জন। গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাতদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ১ ডিসেম্বর ভোর থেকেই গাজার উত্তর, দক্ষিণ, কেন্দ্রস্থল সব জায়গায় তুমুল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণের খান ইউনিস শহরের বাসিন্দাদের দ্রুত শহর ছাড়তে বলেছে। তেলআবিবের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বাসিন্দাদের সরে যেতে বলার মানে হচ্ছে, যাতে বেসামরিক হতাহতের শিকার কম হয়। দক্ষিণের বাসিন্দা বলছেন, গাজায় আসলে কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই। উত্তর গাজায় হামলার সময় কয়েক লাখ বাসিন্দা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিল দক্ষিণ গাজায়। সেই দক্ষিণেও এখন বোমা ফেলছে ইসরায়েল। আগের দিনই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে বলেছে, খান ইউনিসে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে। তাদের নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত কঠোর হামলা চালিয়ে যেতে হবে। |
