|
কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহত ৩৩
মো: ফয়জুল আলম
|
|
নিউজ ডেস্কঃ কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল চোকোতে কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের পর ভূমিধসে অন্তত ৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির কর্মকর্তারা রবিবার জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খবর বিবিসির। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় চোকো প্রদেশের কুইবডো এবং মেডেলিন শহরসহ আশপাশের অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের একপর্যায়ে শুক্রবার বিকেলে কুইবডো-মেডেলিন সড়কে ভূমিধস ঘটে। এতে কিছু বাড়িঘর ছাড়াও ব্যস্ত সড়কটিতে থাকা অসংখ্য গাড়ি পাহাড়ি কাঁদার স্রোতে ঢেকে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ বলেন, আমি এই ট্র্যাজেডিতে ৩৩ জনের মৃত্যুর জন্য গভীরভাবে দুঃখিত, যাদের বেশিরভাগই শিশু। তিনি জানান, নিখোঁজ ও আটকে পড়া লোকদের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কলম্বিয়ান পুলিশের একটি বিশেষ টিম ও সেনাসদস্যরা উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে কাজ করছে। তারা শনিবার মৃতদেহের পাশাপাশি জীবিত বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে তারা। মেডেলিন কর্তৃপক্ষ জানায় ভূমিধসের শিখার বাড়িঘর থেকে শনিবার প্রথম দফায় ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায়, উদ্ধারকারী কর্মী ও দমকলকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর জন্য লড়াই করছেন। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাত থেকে আমরা কুইবডো-মেডেলিন সড়কে জরুরি ও ত্রাণ সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছি। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বলেছেন, এই ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডিতে চোকোকে যেভাবে সাহায্য দরকার, পাঠানো হচ্ছে। আমরা সমস্ত শক্তি দিয়ে কাজ করছি। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত পাহাড় সমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় বনাঞ্চল চোকো প্রায়ই ভূমিধসের শিকার হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কলম্বিয়ার একই অংশে ভূমিধসে কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছিল। |
