|
সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা
মোঃ সাইদুল ইসলাম ইমু
|
|
নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ফের ড্রোন হামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই হামলায় মার্কিন মিত্র কুর্দি মিলিশিয়া এসডিএফের ৬ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তবে কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খবর বিবিসির। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল-জোর প্রদেশের আল-ওমর অয়েলফিল্ড ঘাঁটিতে প্রায় ৮০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘাঁটিতে রয়েছে মার্কিন সহযোগী মিলিশিয়া গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)। তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের সমর্থনে ২০১৯ সালে আইএসকে পরাজিত করার পর থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এসডিএফ জানিয়েছে, দেইর আল-জোর প্রদেশের আল-ওমর তেলক্ষেত্র ঘাঁটিতে অবস্থিত কমান্ডো প্রশিক্ষণ একাডেমিতে সোমবার রাতে ড্রোন আঘাত হেনেছে। একমুখী ড্রোনের হামলায় তাদের ছয়জন কমান্ডো যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এ হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের দায়ী করেছে এসডিএফ। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকা দেইর আল-জোরকে সন্ত্রাসী হামলার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে। সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে মারাত্মক ড্রোন হামলার জবাবে গত শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ায় যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের আইআরজিসি ও সহযোগী মিলিশিয়াদের ৮৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় সিরিয়ায় ২৯ জন ইরানপন্থী যোদ্ধা এবং ইরাকে ১৬ জন নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিশোধ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া ও জর্ডানে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্যবস্তুতে ১০৮বার মিলিশিয়া হামলা হয়েছে। এসব হামলার জন্য ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক (আইআরআই) দায়ী করা হয়, যারা ইরানের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নে চলছে বলে ধারণা করা হয়। ইরান বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
